সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সুনামগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৬৮.৪৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়। আরও জানাযায়, জেলার বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ২১ হাজার ২৩৭ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৯ জন। এদিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৭৮ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ২৫৩ জন। পাসের হার ৯১.০১%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৮ জন। সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৭৫ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪০ জন। পাসের হার ৮৭.২৭%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৬ জন। লবজান চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৪৩ শিক্ষার্থী অংশ হিনে পাস করে ৩৯জন। জিপিএ ৫ কেউ পায় নি। পাসের হার ৯০.৭০%। হাজী মকবুল পুরকায়স্থ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮৩ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ১৮৬ জন। পাসের হার ৬৫.৭২%। এই বিদ্যালয় থেকে কেউ জিপিএ ৫ পায়নি। সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৪৩১ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে ৩১৮ জন পাস করেছে। পাসের হার ৭৩.৭৮%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭জন। বুলচান্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৮ জন ছাত্র অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৩ জন। পাসের হার ৩৪.২১%। জিপিএ - ৫ কেউ পায়নি। নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১০৫ জন অংশ নিয়ে পাস করে ৮৯ জন। পাসের হার ৮৪.৭৬%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ শিক্ষার্থী। রঙ্গারচর হরিনাপাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ জন। পাসের হার ৫৮.০৬%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১জন। জয়নগর বাজার হাজী গণি বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮২ জন। পাসের হার ৮২%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩জন। চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১০জন পাস করেছে। পাসের হার ৭৬.৯২%। জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। ইয়াকুব উল্যা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০৩ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৬০.২৩%। এই বিদ্যালয় থেকে কেউ জিপিএ ৫ পায়নি।
তাহিরপুর : তাহিরপুর উপজেলায় এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। উপজেলার ৬টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ২টি মাদ্রাসাসহ মোট ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ ফলাফল পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, যেখানে ৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, যেখানে ৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প উচ্চ বিদ্যালয়, যেখানে ৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়াও আইডিয়াল ভিশন একাডেমিতে ২ জন, লউড়েরগড় উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ জন এবং বাগলি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার মধ্যে বাদাঘাট রহমানিয়া আওয়ামী দাখিল মাদ্রাসা এবং বালিজুরি এইচএ উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে একজন করে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এদিকে, উপজেলার ২০টি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট ১,৮৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, যার মধ্যে ১,১৪৯ জন অকৃতকার্য হয়েছে। পাসের হারে প্রথম স্থানে রয়েছে আইডিয়াল ভিশন একাডেমি, দ্বিতীয় স্থানে কলাগাঁও চারাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাজী ইউনুছ আলী উচ্চ বিদ্যালয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উপজেলায় সর্বোচ্চ ২৬৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এর মধ্যে ১৭৩ জন পাস করে এবং ৭ জন জিপিএ-৫ পায়। পাসের হার ৬৫.৫৩ শতাংশ।
শান্তিগঞ্জ : শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এসএসসিতে পাস করেছে মোট পরীক্ষার্থীর ৭৭.৮০ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। মাদ্রাসায় দাখিলে পাস করেছে ৬০.৬৯ শতাংশ। এই উপজেলায় মাদ্রাসায় গত বছরের তুলনায় কম শিক্ষার্থী পাস করেছে এ বছর। গত বছর দাখিলে শিক্ষার্থীর পাশের হার ছিল ৬৭.৫৩ শতাংশ। উপজেলায় ১৫টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৩৫৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন ১ হাজার ২২ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন ৩৩১ জন শিক্ষার্থী। ৫ প্রতিষ্ঠানের ৮জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করতে পেরেছেন। সাতগাঁও জীবদাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সর্বোচ্চ ৩টি, পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ ২টি, সুরমা হাইস্কুল এন্ড কলেজ, পঞ্চগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও গাগলী নারায়ণপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলায় ৯১.৮৯ শতাংশ ফলাফল অর্জন করে শীর্ষস্থানে আছে সাতগাঁও জীবদাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। ৮৯.০৬ শতাংশ ফল অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে গণিনগর ষোলোগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও ৮৮.২৪ শতাংশ ফলাফল অর্জন করে তৃতীয় স্থানে পূর্ব পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়। সর্বনি¤œ ফলাফল করে তালিকার নিচে রয়েছে সুরমা হাইস্কুল এন্ড কলেজ, পাথারিয়া। তাদের ফলাফল ৫৯.০৬ শতাংশ। এদিকে, ৭ মাদ্রাসায় দাখিলের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৭৭ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ১টি জিপিএ-৫ অর্জন করলেও এবছর কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। স্কুল এবং মাদ্রাসার এমন ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সচেতন অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, পাশের হার বেশি মানেই ভালো ফলাফল না। সমস্ত উপজেলায় জিপিএ-৫ মাত্র ৮টি। তাছাড়া এভারেজ ফলাফলও তেমন ভালো হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি নজরদারিতে আনার জোর দাবি করেন তারা। আক্তাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসায় ফাজিল তৃতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছেন আফসার আহমদ। তিনি বলেন, আগের মতো শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন না। অভিভাবকেরাও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিয়ে এতোটা সচেতন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষকরা খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়াচ্ছেন না। কোনো একক কারণে নয়, বহুবিদ কারণে ফলাফলের এমন বিপর্যয় হচ্ছে। তাছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রশাসনের নজরদারিও কম বলে আমরা মনে করি। খোরশেদা বেগম নামের একজন অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে পাস করেছে কিন্তু ভালো পয়েন্ট অর্জন করেনি। এখন একটি ভালো কলেজ পাবে কি না সন্দেহ আছে। ছেলে মেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করে না। অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্তির কারণে এক মাসে একদিনও পড়ার টেবিলে বসেন না। আমাদের সবাইকে শিক্ষার্থীদের পেচনে শ্রম দিতে হবে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা তাদের বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী হলে এমন ফলাফল হতো না। উপজেলা প্রশাসন শিক্ষার ব্যাপারে আরো বেশি তৎপর হওয়া দরকার। শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, সারা দেশের তুলনায় এবং পিছিয়ে পড়া একটি উপজেলার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে এবং গত বছরের সাথে তুলনা করলেও আমরা ভালো ফলাফল অর্জন করেছি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। গত বছরের তুলনায় বেশি। তবে আমাদের আরো ভালো করার সুযোগ আছে। আমরা সেদিকে নজর দিয়েই আমরা কাজ করবো।
জামালগঞ্জ : জামালগঞ্জে এসএসসিতে ১০২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ১০ শতাংশ। জিপিএ-৫ অর্জন পেয়েছে ১৭ জন শিক্ষার্থী। জানাযায়, উপজেলার ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। যেখানে ১৫৫ জনের মধ্যে ১৩৫জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন। পাসের হার ৮৭.১০ শতাংশ। জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ১৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯১ জন, পাসের হার ৫৫.১৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৭ জন, পাসের হার ৬৯.৫১শতাংশ।জিপিএ -৫ পেয়েছে ১জন। ভীমখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৯ জন। পাসের হার ৬১.৭২শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। সাচনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩৩ জন,পাসের হার ৮০.৬১শতাংশ। জিপিএ-৫পেয়েছে ১জন। আলাউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৮ জন। পাসের হার ৫৫.৭১শতাংশ। বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৬ জন। পাসের হার ৫০.০০শতাংশ। হাজী আছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৯ জন, পাসের হার ৮২.৬১শতাংশ। আব্দুল মুকিত উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৪ জন, পাসের হার ৭৪.৫৮শতাংশ। আলহাজ্ব ঝুনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬ জন, পাসের হার ৭৬.৪৭শতাংশ। অপরদিকে দাখিল পরীক্ষায় জামালগঞ্জ উপজেলার নওয়াগাঁও দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৬৫ জন। গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৩২.০৫ শতাংশ। জানা যায়, এ কেন্দ্রে ৬টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে হাজী জুলেখা তায়েব দাখিল মাদ্রাসা, যেখানে ১১ জনের মধ্যে ৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৫৪.৫৫ শতাংশ। জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর বলেন, চলতি বছর জামালগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ১২২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৬৩ জন। জিপিএ-৫ সহ সকল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। আরও ভালো ফলাফলের জন্য আগামীতে শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।।
জগন্নাথপুর : জগন্নাথপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল এবার আশানুরূপ হয়নি। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ২২২৩ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৩৬৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৬১ দশমিক ৫৮ ভাগ এবং ১৭টি জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলার ১৮টি মাদ্রাসা থেকে ৮৪৭ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫৯০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৬৬ ভাগ এবং মাত্র ১টি জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া ২টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৩ জন পরীক্ষার্থী কারিগরি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭০ ভাগ এবং ২টি জিপিএ-৫ পেয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অরূপ কুমার রায় জানান, এবারের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি।
ছাতক : ছাতক উপজেলায় এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ৩৯৮ জন, কৃতকার্য হয়েছেন ২ হাজার ৩০৪ জন, জিপিএ - ৫ পেয়ছে ৭০ জন শিক্ষার্থী, পাহের হার ৬৭.৮০ শতাংশ। ছাতকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলার মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করেছে ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ১০৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৯৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ২২৬ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২ জন শিক্ষার্থী। এদিকে, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সিলেট জেলায় ৪০ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৯ হাজার ৯৬৯ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৫০ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। মৌলভীবাজার জেলায় ২২ হাজার ৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ হাজার ৭৮৮ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬৫ জন। পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
হবিগঞ্জ জেলায় ১৮ হাজার ১০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ৭৯৫ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮২ জন। পাসের হার ৬৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
এসএসসি’র ফলপ্রকাশ
জেলায় পাসের হার ৬৮.৪৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন
- আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৭:৫৪:৪২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৭:৫৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ